গত ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২১, সোমবার ।
শ্রী রূপন ভট্টাচার্য্য বতর্মান সময়ে পরিবারের কথা না ভেবে চাকরি ছেড়ে সাবিত্রী আশ্রমের নতুন পূজারী হয়েছেন। উনার পিতা শ্রী অজিত কুমার ভট্টাচার্য্য মৃদুল পটিয়া মডেল হাই স্কুলের পন্ডিত হিসাবে শিক্ষকতা শেষে অবসরগ্রহন করেছেন। এলাকায় পন্ডিত স্যার নামে সকলের শ্রদ্ধা নিয়েই পরিচিত।
আশ্রম যে ফলার্ডীর ( ফলাহারীর দীঘি, ঐতিহ্যের জন্য আমরা ফলার্ডী নাম অনুসরণ করছি ) পাড়ে অবস্হিত বংশানুক্রমে সে দীঘির অংশীদারও পন্ডিত স্যার। উনারই সন্তান শ্রী রূপন সাবিত্রী মায়ের সেবায় জীবন উৎসর্গ করলো গত ১ তারিখ থেকে।
উৎসর্গ কথাটা উল্লেখ করা হলো এজন্য - আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি উনাকে প্রশ্ন করেছিলো চাকরী ছাড়লে সংসার চালানো যাবেনা এই দুর্মূল্যের বাজারে। চট্ জলদি উত্তর ছিল শ্রী রূপনের - মায়ের কৃপায় চলবে। উনার পিতার সাথেও আলাপ করেছিলেন সভাপতি মহোদয় । উত্তর ছিল - জানিনা, সে সাহস দেখাচ্ছে।
আমাদের এই সার্বজনীন আশ্রম নামে মন্দিরটি অন্য মন্দির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ব্রাহ্মণদের ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী মন্ত্রের ভিত্তিতেই স্বর্গীয় নীলকমল ভট্টাচার্য্য এটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উনাদের তিন ভট্টাচার্য্য ডাইনেষ্টির উত্তরাধীকারী অভিষিক্ত হতে যাওয়া এই পূজারী রূপন ভট্টাচার্য্য।
পূজারীকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি।
অনুরোধটি কি?
মনে প্রাণে মায়ের সেবক হবেন। নিজের স্বার্থে লোভের বশবর্তী হয়ে আশ্রমের ভাবমূর্তির কোন ক্ষতিসাধন হয় মতো কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন ।
এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ রইল নতুন পৃজারীকে সম্মানের সাথে সহযোগিতা করা। পূজারী সম্মানিত হলে আশ্রমের ভাবমূর্তির জন্য তা মঙ্গলজনক হবে।
"জয় মা সাবিত্রী"
পোস্টের কৃতিত্ব: নারায়ণ কৃষ্ণ গুপ্ত
অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার
সভাপতি
সাবিত্রী আশ্রম পরিচালনা পরিষদ
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
No comments:
Post a Comment